আস্সালামু আলাইকুম, ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম! ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস পেতে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ


রোজার আয়াত ও হাদিস

রমজানের রোজার ফজিলতঃ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। 

Sakoler IT- সকলের আইটি পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম! সকলের আইটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখি। যেমন, ফেসবুক, ইউটিউব, ব্লগিং, ধর্ম, হেলথ টিপস, মোবাইল টিপস, কম্পিউটার টিপস ইত্যাদি। আমাদের লেখাগুলো থেকে যদি আপনারা সামান্যতম উপকৃত হোন তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। আজকের পোস্টটি হচ্ছে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়া এবং রোজার ইতিহাস সম্পর্কে। 

রোজার আয়াত ও হাদিস

রমজান শব্দের অর্থঃ 

রমজান শব্দটি এসেছে ر م ض রমদুন ধাতু হতে। এর অর্থ হচ্ছে, জ্বালিয়ে দেয়া, পুড়িয়ে দেয়া, ছাই করে দেয়া। রমজান মাসে যারা সিয়াম পালন করবে তাদের গোনাহখাতা পুড়িয়ে ছাই করে দিবে। সেজন্য এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে রমজান। 

সিয়াম শব্দের অর্থঃ 

সিয়াম শব্দের অর্থ হচ্ছে, বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার এবং স্ত্রী সম্ভগ হতে বিরত থাকার নাম হচ্ছে সিয়াম বা রোজা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

يا ايها الذين امنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون 

হে ঈমানদারগ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনি ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপরে ফরজ করা হয়েছিল তোমরা মুত্তাকী হতে পারবে বা খোদাভীরু হতে পারবে। [সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১৮৩] 

রোজার ইতিহাসঃ 

হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে হযরত ঈসা আঃ পর্যন্ত রোজার প্রচলন ছিল আদম আঃ কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যখন সৃষ্টি করলেন, সৃষ্টি করার পর তখন তাকে বললেন ওই বৃক্ষটির নিকট যেও না এবং তার ফল ভক্ষণ করিও না। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি সেই বৃক্ষের নিকট গেলেন এবং তার ফল ভক্ষণ করলেন। ফলে তাঁর রোজা নষ্ট হয়ে গেল। সেটি ছিল তাঁর জন্য রোজা এবং তিনি পৃথিবীতে এসে ৪০ বছর ধরে একা ধারে রোজা রেখেছিলেন তার কাফফারা স্বরুপ। তিনি নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করেছেন তার কারণে তার পেটে সেটি ৩০ দিন পর্যন্ত ক্রিয়া করেছিল। এজন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মুহাম্মাদ সাঃ কে  রমজানের ৩০টি রোজা দান করেছেন। 

হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে যখন আল্লাহতালা তুর পর্বতে ডেকেছিলেন কেতাব দেওয়ার জন্য তিনি সেখানে ৩০ দিন রোজা রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা আরো দশ দিন রোজা বাড়িয়ে দিয়ে মোট ৪০ দিন রোজা করে দিয়েছেন। হযরত মুসা আঃ ৪০ দিন রোজা রেখেছেন হযরত ঈসা আঃ ৪০ দিন রোজা রেখেছেন। 

ইদরীস আঃ সারা বছর রোজা রাখতেন হযরতে দাউদ আলাই সাল্লাম একদিন পরপর রোজা রাখতেন বছরের ছয় মাস রোজা রাখতেন তিনি। 

আমাদের নবীর উপর চারটি ধাপে রোজা কে ফরজ করা হয়েছে বলেছেন মাসে ৩ দিন রোজা রাখতে ১৩১৪ এবং ১৫ তারিখ বলেছেন যে ব্যক্তি পেন্টিকার রোজা রাখবে  সারা আমার নামের মধ্যে লেখা হবে 

ভাব মোহাম্মদ সাঃ এর উপরে মহরম এর একটি রাজাকে ফরজ করা হয়েছে 

তৃতীয় ধাপ ধনীদের উপরে সহজ করা হয়েছে মাধ্যমে তাদেরকে রোজা হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা যদি অসুস্থতা জনিত কারণে রোজা রাখতে ব্যর্থ হতেন এর মাধ্যমে তারা রোজার হক 

চতুর্থ ধাপ রমজানের ত্রিশটি রোজাকে ফরজ করে দেয়া হয়েছে 

شهر رمضان الذي انزل فيه القران هدى للناس وبينه من الهدى والفرقان 

অর্থঃ রমজান মাস যাতে নাযিল হয়েছে কুরআন, মানব জাতির জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট প্রমাণ পথপ্রদর্শক এবং সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী। [সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১৮৫] 

প্রথমে রোজার নিয়ম ছিল সাহরী করার পর সন্ধ্যা হলে ইফতার করার পর কোন কারণে ঘুমিয়ে পড়লে পরে সজাগ হওয়ার পর থেকে তার রোযা শুরু। তখন আর কিছু খেতে পারতো না। এমনিভাবে রমজান মাসের রাতের বেলা স্ত্রী সহবাস করাও নিষিদ্ধ ছিল। পরে মহান আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করে তা হালাল করে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে হাদীসে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এক সাহাবী রোজা অবস্থায় সারাদিন খাটাখাটুনি করার পর সন্ধ্যাবেলা ইফতারের সময় বাড়ীতে ফিরে এসে তাঁর স্ত্রীর নিকট ইফতারের জন্য কিছু খাবার চাইলেন, স্ত্রী বললেন, আমি খাবারের ব্যবস্হা করছি আপনি একটু অপেক্ষা করুন। এই বলে স্ত্রী খাবারের ব্যবস্হা করতে চলে গেলেন। আর এদিকে সাহাবী সারাদিনের ক্লান্ত শরীরে একটু আরাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। স্ত্রী খাবার নিয়ে এসে দেখেন তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন স্ত্রী এটি দেখার পর জোরে ইন্না-লিল্লাহ বলে উঠলেন তারপর বললেন আপনার ভাগ্যে আর খাবার জুটলো না। কারণ, ইফতারের পূর্বে ইফতার না খেয়ে ঘুমিয়ে গেলে তখন থেকে তার জন্য রোজা শুরু হয়ে যেতো। সাহাবী ক্ষুধার্ত অবস্থায় পুনরায় রোজা রাখলেন। পরের দিন আবার খাটাখাটুনি করার পর দুপুর বেলা হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এই খবর রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জানানো হলে আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবীবের নিকট ওহী নাযিল করলেন। এখন থেকে তোমরা ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া এবং স্ত্রী সহবাস করতে পারবে আর কোন বাধা থাকলো না। আল্লাহ তায়ালা তা হালাল ঘোষণা করে দিলেন। 

রোজা রাখার ফজিলতঃ 

عن ابي هريره رضي الله تعالى  قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه

অর্থঃ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার অতীত জীবনের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেবেন। [বুখারী ও মুসলিম] 

সেহরি খাওয়ার ফজিলতঃ 

عن انس بن مالك رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تسحروا فان في السحور بركة. 

অর্থঃ আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরি খাবে কারণ সেহরির মধ্যে বরকত রয়েছে। 

[বুখারী ও মুসলিম] 

তাড়াতাড়ি ইফতার করার ফজিলতঃ 

عن سهل بن سعد رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يزال الناس بخير ما عجلوا الفطر

অর্থঃ সাহল বিন সাদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। [বুখারী ও মুসলিম] 

ইফতারের দোয়াঃ 

اللهم لك صمت وعلى رزقك افطرت. 

"আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।" 

পরিশেষে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেককেই রমজান মোবারক মাসে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। আমীন 

শেষ কথাঃ 

পবিত্র রমজানের রোজার ফজিলত জেনে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দিন।

ট্যাগঃ

✅ #রোজার_আয়াত ✅ #রোজার_হাদিস ✅ #সিয়াম_ইবাদত ✅ #কুরআন_ও_হাদিস
✅ #রোজার_গুরুত্ব ✅ #ইসলামিক_শিক্ষা ✅ #রমজান_উপদেশ ✅ #রোজার_ফজিলত
✅ #সুন্নাহ_অনুসরণ ✅ #ইসলামিক_টিউটোরিয়াল

Sakoler IT

আমি মোঃ আজিজুল হাকিম। আমি একজন ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েবসাইট ডিজাইনের সার্ভিস দিয়ে থাকি, প্রায় ৭ বছর যাবৎ উক্ত কাজে নিয়োজিত আছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন