বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
Sakoler IT- সকলের আইটি পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম! সকলের আইটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখি। যেমন, ফেসবুক, ইউটিউব, ব্লগিং, ধর্ম, মোবাইল টিপস, কম্পিউটার টিপস ইত্যাদি। আমাদের লেখাগুলো থেকে যদি আপনারা সামাতম উপকৃত হোন তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। আজকের পোস্টটি হচ্ছে, মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
//০\\
মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কুরআনের আয়াতঃ
আর আপনার রব আদেশ করেছেন মৌমাছিকে তুমি পাহাড়-পর্বতে ঘর তৈরী কর, গাছে এবং মানুষ যে মাচা তৈরী করে তাতে।
অতঃপর সব ধরনের ফল থেকে খাও, তারপর চল তোমার রবের পথসমূহে বাধাহীন ভাবে। তার পেট থেকে বিভিন্ন রংয়ের পানীয় বের হয়। যাতে আছে মানুষের জন্য রোগমুক্তি। নিশ্চয়ই এর মাঝে নিদর্শন রয়েছে সেই সকল লোকদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।
[সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ৬৮, ৬৯]
সুতরাং বুঝা গেল মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের আয়াত দ্বারা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, মধুর মধ্যে রয়েছে শেফা বা রোগ মুক্তি।
//০\\
মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদীসঃ
এক ব্যক্তির পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। তখন তার ভাই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গিয়ে জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তাকে মধু পান করাও। তারপর সে তার ভাইকে মধু পান করালো। এতে তার ভাইয়ের পেটের অসুখ আরো বৃদ্ধি পেলো। সে এই কথা রাসূল সাঃ কে জানালো। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন, তোমার ভাইয়ের পেটই মিথ্যা। তাকে মধু পান করাও। এতে তার ভাইয়ের পেটের অসুখ আরো বৃদ্ধি পেলো। সে এই কথা রাসূল সাঃ কে জানালো। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তাকে মধু পান করাও। এরপর তৃতীয় বার তাকে মধু পান করানো হলো ফলে তার পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে গেলো।
[তিরমিজি শরীফ, হাঃ ২০২৮]
পবিত্র হাদীস শরীফ হতেও জানা গেলো যে মধুর মধ্যে মানুষের জন্য রোগমুক্তি রয়েছে।
//০\\
মধু হচ্ছে জান্নাতি খাবারঃ
নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে এমন এক জান্নাত যার নিম্নদেশ হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে, মহা সাফল্য।
[সূরাঃ বুরুজ, আয়াতঃ ১১]
উক্ত আয়াতে ঝর্ণাধারা দ্বারা চারটি নদী বুঝানো হয়েছে। যেমন, ১) দুধের নদী ২) মধুর নদী ৩) পানির নদী ও ৪) শরাবের নদী।
//০\\
কালিজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিতাঃ
কালিজিরা হচ্ছে, মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের ঔষধ। কালিজিরাকে বলা হয় ব্লাক ডায়মন্ড। কালিজিরাতে এমন উপাদান আছে যা সমস্ত রোগের প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করে। কালিজিরা সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে,
খালিদ ইবনে সাদ রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ অভিযানে বের হলাম। আমাদের সাথে গালিব ইবনে আবযার ছিলেন। তিনি পথিমধ্যে অসুস্হ হয়ে পড়লেন। তারপর আমরা মদীনায় এসে পড়লাম তখনো তিনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। তাকে দেখাশোনার জন্য ইবনে আবু আতিক আসেন। তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা কালোজিরা সাথে রাখিও। এর থেকে ৫টি অথবা ৭টি দানা নিয়ে পিষে খাবে। তারপর তার মধ্যে যয়তুনের কয়েক ফোঁটা তেল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এপাশে ওপাশে কয়েক ফোঁটা করে দিবে। কারণ, আয়েশা রাঃ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ কে তিনি হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন, এই কালিজিরা সাম ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। আমি বললাম, সাম কি হে আল্লাহর রাসূল সাঃ। তিনি বললেন, সাম হচ্ছে, মৃত্যু।
[বুখারী শরীফ, হাঃ ৫২৮৫]
কালিজিরা এবং মধু একত্রে প্রতিদিন খেলে চির যৌবন লাভ করা যায়।
//০\\
মধু খাওয়ার উত্তম সময়ঃ
মধু খাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে, সকাল বেলা খালি পেটে। এছাড়াও তিন বেলায় এক চামুচ পরিমাণ করে খাওয়া যায়।
//০\\
মধু খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ
সকাল বেলা খালি পেটে হাতের তালুতে মধু ঢেলে নিয়ে কয়েকটি কালিজিরার দানাসহ একত্রে রোজ চেটে খেতে হবে। আপন স্ত্রীর হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেলে বেশী উপকার পাওয়া যাবে।
//০\\
মধু ও গরম পানি একত্রে খাওয়াঃ
সকাল বেলা ও রাত্রি বেলা এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু, দুই চামিচ মধু ও দুইটি লবঙ্গ এক সাথে মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে ঠান্ডা জনিত বুকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।